
আজকে আমাদের সাথে আছেন,
এ এস এম ফখরুদ্দিন ভুইয়া,এডভোকেট ও ট্যাক্স কনসালটেন্ট। জজ কোর্ট,ফেনী,চেম্বার,তারা নিবাস সিটি কমপ্লেক্স, ৩য় তলা, রুম-৪৮, ট্রাংক রোড, ফেনী।
ফোন: ০১৮১৭৬০৯৯২৩
প্রশ্ন: পাঠকদের উদ্দেশ্যে আপনার সর্ম্পকে কিছু বলুন।
উত্তর: আমি এ এস এম ফখরুদ্দিন ভুইয়া। পেশায় একজন এডভোকেট ও ট্যাক্স কনসালটেন্ট। ফেনী জেলা জজ কোর্টে প্র্যাকটিস করছি এবং ফেনী জেলা ট্যাক্স বার এসোসিয়েশনের সদস্য নিয়মিত আয়কর প্র্যাকটিস করছি। পড়াশোনা, আমি মূলত ব্যবসায় শিক্ষা শাখা থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেছি। এরপর ব্যবস্থাপনায় স্নাতকোত্তর এবং ফাইন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং-এ এমবিএ করি। আল্লাহর রহমতে প্রতিটি ধাপেই আমি প্রথম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হয়েছি। পরে আইনের প্রতি আগ্রহ থেকে আমি এলএলবি সম্পন্ন করি, যেখানে দ্বিতীয় শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হয়ে শিক্ষাজীবনের আরেকটি অধ্যায় শেষ করি।এর পর,বার কাউন্সিলের সনদ প্রাপ্ত হয়ে সিভিল ক্রিমিনাল ও আয়কর আইনজীবী হিসাবে প্রাক্টিস করছি।
প্রশ্ন: আপনি এডভোকেসীর পাশাপাশি আয়কর প্রাকটিস করছেন। আমি আপনার কাছে আজকে ট্যাক্স রিটার্ন বিষয়ে জানতে চাই। প্রথমত,রির্টার্ন দাখিলে কেন আইনজীবীর সহায়তা প্রয়োজন?
উত্তর: অনেক করদাতা নিজেই রিটার্ন দেন, কিন্তু ভুলের কারণে জরিমানা, অডিট বা শো-কজের মুখোমুখি হন। আমি আমার ক্লায়েন্টদের বৈধ কর সাশ্রয়ের উপায় দেখাই, প্রমাণপত্র ঠিক করি, এবং ভবিষ্যতের ঝামেলা থেকে রক্ষা করি। আমি মনে সকল দক্ষ আয়কর আইনজীবী করদাতারে উত্তম গাইডলাইন হিসাবে কাজ করে।
প্রশ্ন: রিটার্ন দাখিলে করদাতারা কোন সমস্যায় বেশি পড়েন?
উত্তর: এখানে যে বিষয়গুলা ঘটে, প্রথমত নতুন আইন ও সার্কুলার সম্পর্কে অজানা থাকে।রিটার্ন সম্পর্কিত খরচ ও কাগজপত্র সংরক্ষণে গাফিলতি করে।দক্ষতার অভাবে অসম্পূর্ণ বা ভুল রিটার্ন জমা করে।অনেক সময় ব্যাংক ট্রানজেকশন ও বিদেশি আয় ঠিকভাবে দেখাতে পারেনা।সময়মতো রিটার্ন না জমা দেওয়ার কারণে জরিমানা হবে এই বিষয়ে গুরুত্ব না দেয়া।
প্রশ্ন: আয়কর আইনজীবী হিসাবে দেওয়া সেবাগুলো কী কী?
উত্তর: ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক আয়কর রিটার্ন প্রস্তুতি ও জমা,ট্যাক্স পরিকল্পনা ও ছাড় ব্যবস্থাপনা,ভ্যাট ও কর রিবেট বিষয়ক পরামর্শ,ট্যাক্স ট্রাইব্যুনালে মামলা পরিচালনা,কর সংক্রান্ত জটিল প্রশ্নে পরামর্শ ও লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স।
প্রশ্ন: করদাতাদের সচেতন করতে আপনার পরামর্শ কী?
উত্তর:সব খরচ ও প্রমাণপত্র ঠিকমতো সংরক্ষণ করতে হবে।রিটার্ন সময়মতো এবং সঠিকভাবে জমা দিতে হবে।প্রয়োজনে ট্যাক্স কনসালটেন্ট বা আইনজীবীর সহায়তা নিন।আইনের ভেতর থেকে বৈধভাবে কর সাশ্রয় করুন।
প্রশ্ন: করদাতাদের জন্য কোন ভুলগুলো সবচেয়ে সাধারণ?
উত্তর:আয় ও ব্যয়ের হিসাব ভুল দেখানো।ব্যাংক স্টেটমেন্ট বা খরচের কাগজপত্র ঠিকভাবে সংরক্ষণ না করা।ভ্যাট, ইনকাম ট্যাক্স বা রিবেটের জন্য সময়মতো আবেদন না করা।
প্রশ্ন: আপনার লক্ষ্য কী?
উত্তর:আমি চাই, সাধারণ মানুষ ট্যাক্স নিয়ে ভয় না পেয়ে সচেতন হোক। আইন মেনে সঠিকভাবে কর দিলে যেমন রাষ্ট্র উপকৃত হবে, তেমনি করদাতাও নিশ্চিন্তে থাকতে পারবেন।
প্রশ্ন: নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য কোন পরামর্শ দেবেন?
উত্তর:ব্যবসা শুরু করার আগে ট্যাক্স প্ল্যানিং করুন। আয় ও ব্যয়ের হিসাব নিয়মিত রাখুন। ট্যাক্স আইন সম্পর্কে জানতে অভিজ্ঞ কাউন্সেলরের পরামর্শ নিন। এতে ভবিষ্যতে অডিট বা জরিমানা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
প্রশ্ন: শেষকথা পাঠকদের জন্য?
উত্তর: “ট্যাক্স ফাঁকি নয়, সঠিকভাবে ট্যাক্স দিই। আইনের ভেতর থেকেই কর সাশ্রয় করি। সঠিক কর দিতে পারলে ঝামেলা কমে, স্বস্তি বেড়ে যায়।”
আপনাকে আমাদের সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।