ডা. গোলেন বলেন, “হঠাৎ করে এক কান বন্ধ হয়ে যাওয়া বা কম শোনার সমস্যা গুরুতর কোনো রোগের লক্ষণ হতে পারে। এই ধরনের পরিস্থিতিতে জরুরি ভিত্তিতে নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। অন্যথায় স্থায়ীভাবে শ্রবণশক্তি হারানোর ঝুঁকি থেকে যায়।”
হঠাৎ কানে চাপা অনুভূতি বা শুনতে অসুবিধা হওয়ার পেছনে নানা কারণ থাকতে পারে। যদি কিছু সময় পরেও স্বাভাবিক অবস্থায় না ফেরে, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত বলে মত দেন যুক্তরাষ্ট্রের বস্টনের স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. টনি গোলেন।
হার্ভার্ড হেলথ পাবলিকেশনে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, “কানে অস্বস্তিকর চাপা অনুভূতির কারণে শুনতে সমস্যা হতে পারে, তবে সবসময় এই সমস্যার কারণ সোজাসুজি বোঝা যায় না।”
তিনি সাধারণ একটি কারণ তুলে ধরে বলেন, “কানের ভেতর তারল্য বজায় রাখতে এক ধরনের তেল নিঃসরণ হয়। এই তেল বাইরের ধুলোময়লা আটকে রাখে, যার ফলে ‘ইয়ারওয়াক্স’ বা খৈল জমে। কিন্তু সমস্যার শুরু হয় যখন কটনবাড দিয়ে এই ময়লা পরিষ্কার করার চেষ্টা করা হয়, কারণ এতে খৈল আরও গভীরে চলে যায়।”
এ কারণে ডা. গোলেন পরামর্শ দেন কটনবাডের পরিবর্তে ‘ইয়ারওয়াক্স রিমুভাল ড্রপ’ ব্যবহার
আরেকটি সম্ভাব্য কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, কানের ‘ইউস্টেকিয়ান টিউবস’ ফুলে গেলে বা আটকে গেলে কান বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এই টিউবগুলি কানের মধ্যবর্তী অংশকে গলার পেছনের অংশের সাথে সংযোগ স্থাপন করে। বিমান ভ্রমণ, অ্যালার্জি, সাইনাস, কানের সংক্রমণ বা ফুসফুসে ভাইরাসের সংক্রমণ থেকেও এই সমস্যা হতে পারে।
তাই দু-এক দিনের মধ্যে কানবন্ধ অবস্থা সেরে না উঠলে দ্রুত চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।