আজ ৬ডিসেম্বর দুপুর ০৩ টা ৩০ মিনিটের সময় ফেনী শহরের শহীদ মিনার চত্বরে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশন ফেনী জেলা শাখার উদ্যোগে এড. সাইফুল ইসলাম আলিফ’র খুনীদের ফাঁসির দাবিতে এবং সন্ত্রাসী, জঙ্গী ও উগ্রবাদী ইসকন সংগঠন নিষিদ্ধের দাবীতে আগরতলায় বাংলাদেশ দূতাবাসে হামলার প্রতিবাদে আইএইচআরসি ফেনী শাখার সম্মানিত সদস্য বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী অ্যাড. লায়লা আঞ্জুমান আরা’র সভাপতিত্বে, এড. আবদুল্লাহ আল মামুন জুয়েল ও ব্যাংকার আবদুল আহাদ এর যৌথ সঞ্চালনায় মানববন্ধন কর্মসূচিতে আইএইচআরসি ফেনী জেলা শাখার সমন্বয়ক অ্যাড. শাহজালাল ভুঁইয়া সবুজ প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন- অ্যাড. সাইফুল ইসলাম আলিফকে হত্যা ছিলো একটি ষড়যন্ত্রমূলক ও পূর্ব পরিকল্পিত হত্যা। এই হত্যার পিঁছনে স্বৈরাচারী হাসিনা-মোদির ইন্ধন রয়েছে। এই হত্যার সাথে জড়িত সকল খুনিদেরকে, মূল হোতা, উস্কানিদাতা ও ইন্ধনদাতাদেরকে অবিলম্বে গ্রেফতার করে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নিকট জোর দাবী জানান। তিনি আরও বলেন ইসকন বাংলাদেশের পতাকা তথা মানচিত্রকে অবমাননা করে প্রমান করেছে তারা কোন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন না। ইস্কন ইতিমধ্যে হিন্দুদের মন্দির জোরপূর্বক দখল করে অস্রের গুদাম বানিয়ে অস্রের ট্রেনিং দিয়ে প্রমান করেছে তারা কোন ধর্মীয় সংগঠন না। তারা একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। ইস্কন ইতিমধ্যে ঢাকা শহরকে অচল করার ঘোষণা দিয়ে প্রমান করেছে, তারা একটি উগ্রবাদী সংগঠন। ইস্কন অ্যাড. আলিফকে হত্যা করে প্রমান করেছে, তারা একটি জঙ্গি সংগঠন। তাই অনিবন্ধিত ইসকন সংগঠনকে নিষিদ্ধ করার জন্য আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশন (আইএইচআরসি), ফেনী জেলা শাখার পক্ষ থেকে আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচী থেকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নিকট জোর দাবী জানান। জুলাই এবং ৪/৫ আগস্টে হাজার হাজার মায়ের বুক খালি হওয়ার মধ্য দিয়েই আমরা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এর অগ্রণী ভূমিকায় হাজার হাজার ছাত্র জনতার তাজা রক্তের বিনিময়ে সকল শ্রেণীর, পেশাজীবি ও মুক্তিকামী মানুষের তীব্র আন্দোলনে বাংলাদেশ দ্বিতীয় বারেরমত স্বাধীন হয়েছে। তিনি ভারতকে স্মরণ করে দিয়ে আরও বলেন যখন বাংলাদেশের সাবেক প্রধান বিচারপতি এস.কে সিনহাকে তৎকালীন আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার পাগল বানিয়ে অসুস্থ সাজিয়ে অপমান অপদস্থ করে গাড় ধাক্কা দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তাড়িয়ে দিয়েছিলো, তখন কেন ভারত প্রতিবাদ করেনি? কেন মুখ খুলেনি? কেন উদ্বেগ প্রকাশ করেনি??? যখন বিশ্বজিৎ কে দিনের আলোতে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করেছিলো, তখন কেন ভারত প্রতিবাদ করেনি??? কেন মুখ খুলেনি??? কেন উদ্বেগ প্রকাশ করেনি??? নিশ্চয়ই ডাল মে কুইচ কালা হায়ে! ভারতের কাছে তিনি প্রশ্ন রাখেন, এস. কে সিনহা কি একজন হিন্দু ছিলো না? বিশ্বজিৎ কি একজন হিন্দু ছিলো না??? এর মানে এটাই প্রমান করে ইসকন হিন্দু ধর্মের প্রতিনিধিত্ব করেনা! আগরতলায় বাংলাদেশ দূতাবাসে ভারতীয় উগ্রবাদী সন্ত্রাসীরা যে হামলা করেছে আর অ্যাড. আলিফকে যারা হত্যা করেছে উভয় বিষয় একই সূত্রে গাঁথা এর পিঁছনে রয়েছে হাসিনা-মোদির ইন্ধন। ইহার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী ব্যাংকার আবদুল আহাদ, অ্যাড. জুয়েল, অ্যাড. লায়লা, শিক্ষানবিশ আইনজীবী ওবায়েদ উল্লাহ, ফেনী ইউনিভার্সিটির লেকচারার তানভীর হোসেন, ফেনী ইউনিভার্সিটির প্রফেসর সিয়াম, ডাঃ আবদুল মোমেন ভূইয়া মাসুম, বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী মোঃ ফখরুল আলম, ইঞ্জি: মো: ফয়সাল, শিক্ষানবিশ আইনজীবী সোহেল, ব্যাংকার রায়হান, মানবাধিকার কর্মি বদরুল হোসেন মামুন, নারী উদ্যোক্তা জাহানারা আক্তার মনি, শিক্ষানবিশ আইনজীবী মো: সোহেল, শিক্ষানবিশ আইনজীবী রহিমা, শিক্ষানবিশ আইনজীবী রিমি রায়, মো: নাহিদ, মো: শিপন, মো: সজিব, সোহেল, বাদল, রাকিব, আজমীরি, আবদুল্লাহ আল কাইয়ুম প্রমুখ।
বার্তা প্রেরক:
অ্যাড. শাহজালাল ভুঁইয়া সবুজ
০১৮১৮-৫২২১৯০
ছবির ক্যাপশন:
অ্যাড. আলিফ হত্যা আর দূতাবাসে হামলা একই সূত্রে গাঁথা এর পিঁছনে হাসিনা-মোদির ইন্ধন রয়েছে:
অ্যাড. সবুজ